Wednesday, July 25, 2012

বায়োইনফরমেটিকস শিখবো কিভাবে?


পৃথিবীতে একটা সময় পর পর উৎপাদন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আসে।  সভ্যতা কম খরচে, পরিবেশের কম ক্ষতি করে আরো বেশি উৎপাদনের পদ্ধতি খুঁজে বের করে প্রতিনিয়ত।  এই মুহূর্তে পৃথিবীতে এইরকম একটা পরিবর্তন চলছে।  গত শতাব্দী ছিলো পদার্থ আর রসায়নবিজ্ঞানের।  এখন পৃথিবীতে জয়জয়কার জৈবপ্রযুক্তির।  জৈবপ্রযুক্তির রাজপ্রাসাদের সদর দরজা হলো মলিকুলার বায়োলজি বা অনুপ্রাণবিজ্ঞান।  অণুপ্রাণবিজ্ঞান কাজ করে মূলত ডিএনএ, আরএনএ, প্রোটিন ইত্যাদি নিয়ে।  প্রতি ষোল মাসে এই তথ্য দ্বিগুণ হচ্ছে।  এই বিপুল পরিমানের তথ্য বিশ্লেষণের জন্য তাই ব্যবহৃত হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি।  বায়োইনফরমেটিকস হলো জীববিজ্ঞানে তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগ।  এটি একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি বিষয় যেখানে লাগে জীববিজ্ঞান, কম্পিউটার, এলগরিদম, গণিত, পরিসংখ্যান, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান সহ বিভিন্ন আপাত পরস্পরবিরোধী জ্ঞান।

শিখবো কিভাবে
সবচাইতে ভালো চলমান কোন প্রজেক্টে অংশ নেয়া।  তাহলে একেবারে হাতেকলমে শেখা যায়। তবে বাংলাদেশে আগ্রহীদের জন্য এই সুযোগ যথেষ্ট দুর্লভ।  তখন উপায় ইন্টারনেট থেকে বায়োইনফরমেটিকসের যে কোন গবেষণাপত্র বেছে নিয়ে তা অনুসরণ ও অনুকরণ করে।  কোন গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফল আবার খুঁজে বের করা বা রিপ্রডিউস করা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের।  এক্ষেত্রে  আগ্রহীদের সুবিধা হলো বায়োইনফরমেটিকসের কাজ করতে একটি কম্পিউটার ও ইন্টারনেট লাইনই যথেষ্ট। অন্য কোন যন্ত্রপাতি ছাড়াই অনেকদূর এগিয়ে যাওয়া যায়।  ইন্টারনেটে অনেক বিখ্যাত বিখ্যাত ওপেনসোর্স সফটওয়ার আছে, সেগুলো ব্যবহার করা যায়।

যা যা লাগবে
আমি জীববিজ্ঞানে পড়াশুনা করেছি, আপনি হয়তো কম্পিউটারবিজ্ঞান কিংবা গণিত নিয়ে পড়ছেন।  খুব ভালো।  কিন্তু কোন ছাড় নেই, সবাইকে সব কিছু শিখতে হবে।  অন্তত ন্যূনতম একটুকু জ্ঞান থাকতে হবে।  আধুনিক গবেষণাগুলো শুধু একটি জ্ঞানের অঞ্চলে হয় না।  দরকার হয় বিভিন্ন বিষয়ের আন্তঃসম্পর্কের ধারণা।  তার মানে এই না ওই বিষয়গুলো সম্পর্কে চারবছরের অনার্স কোর্স করে আসতে হবে।  এভাবে আসলে কাজ করা সম্ভব হয় না।  বরং আমাদের যখন যেটা লাগে, সেটা আমরা জেনে নিতে পারি।  ইন্টারনেট আছে কি করতে?
হ্যাঁ, অনেক সফটওয়ার আপনাকে বায়োইনফরমটিকসের বিশ্লেষণ করে দেবে।  তারমানে এই না যে আপনি বায়োইনফরমেটিশিয়ান। যেমন কেউ মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে টাইপ করতে পারে তার মানে এই না যে সে কম্পিউটারবিদ।
অনেক বড় বড় কথা না বলে বরং দেখা যাক একজন নিউরোসায়েন্টিস্ট কি বলছেন:
learn how to do your own data analysis. Know statistics well. Know at least some basic programming/scripting in Python, R, Matlab, etc. This will be of immense value in helping you get your research done efficiently and correctly, without needing to rely on other people’s code (and time and commitment). This will become more important as our field becomes more data driven.
প্রোগ্রামিং জানেন না? কোন ভয় নেই। আপনাকে ধাক্কা দিয়ে প্রোগ্রামিঙের সাগরে ফেলে দেয়া হবে … নিজ দায়িত্বে তখন পাইথন শিখে নেবেন। ও ভালো কথা, আমরা এখানে পাইথন ব্যবহার করছি। পাইথন সম্পর্কে বেশি কিছু বলার প্রয়োজন নেই, গুগল এই প্রোগ্রামে তৈরি। আমরা এখানে বায়োইনফরমেটিকস, প্রোগ্রামিং দুইটাই দেখবো। বোঝেন বা না বোঝেন, অন্তত প্রোগ্রাম শেলে কোডগুলো কপি করে দেখতে পারবেন কি হয়। পাইথন এতো সোজা যে শিখতে মাত্র কয়েক ঘন্টা লাগবে।

No comments:

Post a Comment